ফ্রিল্যান্সারদের ১০ ভয়
Posted in freelancer
ফ্রিল্যন্সাররা অনেক বিষয়ে ইতস্তত করেন, কোন কোন বিষয়ে ভয় পান। পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চান না। স্বাভাবিকভাবেই ফল হিসেবে পিছিয়ে পড়তে হয়। এটা এতটাই স্বাভাবিক ঘটনা যে সবার ক্ষেত্রেই কমবেশি হয়।
আপনি এই বিষয়গুলিতে সচেতন থাকলে ভয়কে জয় করে সাফল্য পেতে পারেন।
. কাজ না পাওয়ার ভয়
ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় ভয় ফ্রিল্যান্সার হলে কাজ পাওয়া যাবে না। বাস্তবে বলা হয় ফ্রিল্যান্সারের প্রথম কাজ পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। কাজেই কাজ পাওয়া শক্ত এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু কাজ পাওয়া যায় না একথা ঠিক না মোটেই। যারা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছে তাদের দিকে দৃষ্টি দিন, অনেকেই আপনার চেয়ে কম দক্ষ। যে বিষয়ে তারা এগিয়ে তা হচ্ছে তারা ভয়কে জয় করে কাজে লেগে রয়েছেন।
. ভাল কাজ না করার ভয়
আপনার মনে হতেই পারে আপনার কাজ দেখে ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট হবেন না। আপনি যথেষ্ট ভালভাবে কাজ করতে পারবেন না। এটা যতটা বাস্তব ততটাই বাস্তব হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং কাজে লেখা, ডিজাইন ইত্যাদিতে ভালমন্দের পার্থক্য নির্নয় করা বিষয়টিই নির্ভর করে ব্যক্তির ওপর। অত্যন্ত দক্ষ কারো কাজের বদলে নতুন কারো কাজ বেশি পছন্দের হতে পারে।
. বোকা হওয়ার ভয়
অন্যদের সামনে বোকা হওয়ার বিষয়টি লজ্জাজনক। ফ্রল্যান্সারের মনে হতেই পারে চেষ্টা করে কাজ পেলাম না এটা লজ্জাজনক, অন্যরা যদি জেনে যায়। বাস্তবে যারা সত্যিকারের কাজের মানুষ তারা স্বিকার করেন ব্যর্থতা সাফল্যের চাবিকাঠি। অন্যরা সত্যিসত্যি আপনাকে বোকা কিংবা অকর্মা কিনা সেটা কাজ করে দেখিয়ে দিন। অথবা বিষয়টিকে পুরোপুরি এড়িয়ে যান। যখন সাফল্য পাবেন তখন অন্যরা জানবে।
. মেজাজি ক্লায়েন্ট নিয়ে ভয়
কোন ক্লায়েন্ট যদি পরিস্থিতি না বুঝে কথা বলেন সেটা সহ্য করে কাজ করা কঠিন। তারপরও, যারা নিয়মিত কাজ করান তারা কাজ করাতে জানেন। যদি তেমন লক্ষন দেখেন তাহলে বরং তাকে এড়িয়ে চলুন। আগেই কাউকে মেজাজি ধরে নেবেন না। অনেককেই দেখে যতটা কঠিন মনে হয় বাস্তবে তারা তা নন।
. টাকা না পাওয়ার ভয়
কাজ করে টাকা পাওয়া যাবে না এটা ভুক্তভোগির ভয়। বাস্তবে এটা সবসময়ই ঘটে। ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্সার, ও-ডেস্ক এর মাধ্যমে কাজ করলে অর্থপ্রাপ্তির বিষয় নিশ্চিত করে। আর নিজে যোগাযোগ করলে সেটা ঘটে অস্বিকার করার উপায় নেই। কিভাবে অর্থ পেতে হয় সেবিষয়ে পৃথক লেখা রয়েছে বাংলা-টিউটর সাইটে। সাধারনভাবে বক্তব্য হচ্ছে, অর্থপ্রাপ্তি বিষয়ে সন্দেহ থাকলে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার আগে অর্থ বুঝে নিন। অর্থ না পাওয়ার ঘটনা একবার ঘটলে সেই বিশেষ ক্লায়েন্টের কাজ কখনো করবেন না।
. অল্প অর্থে কাজ করার ভয়
কাজ করে সামান্য অর্থ পাওয়া যাবে এমন ধারনা তৈরী হওয়া অযৌক্তিক না। কাজ পাওয়ার সময় মুল্য কমানোর প্রতিযোগিতা যদি শুরু হয় তখন সেটা ঘটতেই পারে। বাস্তবতা হচ্ছে বেশকিছু কাজ করার পর আপনি সেগুলির উল্লেখ করে তারসাথে মানানসই অর্থ দাবী করতে পারেন।
. দিনরাত কাজ করার ভয়
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দিনরাত কাজ করার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু বিষয়টি আপনার নিজের ওপর। আপনি কতটা কাজ নেবেন, কতটা সময় ব্যয় করবেন সেটা আপনিই ঠিক করে নিতে পারেন।
. নিজের দক্ষতা থেকে সরে যাওয়ার ভয়
আপনি বিশেষ বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, সেই বিষয়কে আপনি ভালবাসেন। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার তার ক্ষতির কারনে আপনার মনে ভয় থাকতে পারে। বাস্তবে ফ্রিল্যান্সিং দিনদিন এতটাই ব্যাপকতা লাভ করছে যেখানে যে কোন বিষয়েই ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়।
. একাকিত্বের ভয়
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনাকে কাজ করতে হবে একা। বাস্তবে কাজ করার সময় অন্য কারো উপস্থিতি বরং কাজের ক্ষতিই করে। আপনি যদি সংগ পছন্দ করেন তাহলে একে সমস্যা মনে হতে পারে। বরং কাজের সময় ঠিক করে নিন। কখন কাজ করবেন, কখন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবেন ইত্যাদি ঠিক করে সবদিক ঠিক রাখতে পারেন।
. পরিচয় হারানোর ভয়
কাজের জন্য নিজের তথ্য দিতে হয়। এর অপব্যবহারের কারনে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে এবং সেটা ঘটেও। কাউকে কতটুকু জানানো প্রয়োজন হিসেব করে যদি জানান তাহলে এই সমস্যা থেকে দুরে থাকতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজে সমস্যা থাকে এভাবে না ভেবে বরং অনায়াসে ভাবতে পারেন, সব কাজেই সমস্যা থাকে। সমস্যা মোকাবেলা করেই সাফল্য পেতে হয়। যে হারে ফ্রিল্যান্সিং এগিয়ে চলেছে তাতে অনেকেই ধারনা করছেন বর্তমানের অফিস ব্যবস্থা থাকবে না, যে কেউ ঘরে বসেই কর্মী হিসেবে কাজ করবেন।
তাহলে আপনি আগে শুরু করার কৃতিত্ব থেকে দুরে থাকবেন কেন ?
আপনার নিজস্ব মত বা বক্তব্য থাকলে অন্যদের জানাতে পারেন।
আপনি এই বিষয়গুলিতে সচেতন থাকলে ভয়কে জয় করে সাফল্য পেতে পারেন।
. কাজ না পাওয়ার ভয়
ফ্রিল্যান্সারদের সবচেয়ে বড় ভয় ফ্রিল্যান্সার হলে কাজ পাওয়া যাবে না। বাস্তবে বলা হয় ফ্রিল্যান্সারের প্রথম কাজ পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। কাজেই কাজ পাওয়া শক্ত এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু কাজ পাওয়া যায় না একথা ঠিক না মোটেই। যারা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছে তাদের দিকে দৃষ্টি দিন, অনেকেই আপনার চেয়ে কম দক্ষ। যে বিষয়ে তারা এগিয়ে তা হচ্ছে তারা ভয়কে জয় করে কাজে লেগে রয়েছেন।
. ভাল কাজ না করার ভয়
আপনার মনে হতেই পারে আপনার কাজ দেখে ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট হবেন না। আপনি যথেষ্ট ভালভাবে কাজ করতে পারবেন না। এটা যতটা বাস্তব ততটাই বাস্তব হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং কাজে লেখা, ডিজাইন ইত্যাদিতে ভালমন্দের পার্থক্য নির্নয় করা বিষয়টিই নির্ভর করে ব্যক্তির ওপর। অত্যন্ত দক্ষ কারো কাজের বদলে নতুন কারো কাজ বেশি পছন্দের হতে পারে।
. বোকা হওয়ার ভয়
অন্যদের সামনে বোকা হওয়ার বিষয়টি লজ্জাজনক। ফ্রল্যান্সারের মনে হতেই পারে চেষ্টা করে কাজ পেলাম না এটা লজ্জাজনক, অন্যরা যদি জেনে যায়। বাস্তবে যারা সত্যিকারের কাজের মানুষ তারা স্বিকার করেন ব্যর্থতা সাফল্যের চাবিকাঠি। অন্যরা সত্যিসত্যি আপনাকে বোকা কিংবা অকর্মা কিনা সেটা কাজ করে দেখিয়ে দিন। অথবা বিষয়টিকে পুরোপুরি এড়িয়ে যান। যখন সাফল্য পাবেন তখন অন্যরা জানবে।
. মেজাজি ক্লায়েন্ট নিয়ে ভয়
কোন ক্লায়েন্ট যদি পরিস্থিতি না বুঝে কথা বলেন সেটা সহ্য করে কাজ করা কঠিন। তারপরও, যারা নিয়মিত কাজ করান তারা কাজ করাতে জানেন। যদি তেমন লক্ষন দেখেন তাহলে বরং তাকে এড়িয়ে চলুন। আগেই কাউকে মেজাজি ধরে নেবেন না। অনেককেই দেখে যতটা কঠিন মনে হয় বাস্তবে তারা তা নন।
. টাকা না পাওয়ার ভয়
কাজ করে টাকা পাওয়া যাবে না এটা ভুক্তভোগির ভয়। বাস্তবে এটা সবসময়ই ঘটে। ইন্টারনেটে ফ্রিল্যান্সার, ও-ডেস্ক এর মাধ্যমে কাজ করলে অর্থপ্রাপ্তির বিষয় নিশ্চিত করে। আর নিজে যোগাযোগ করলে সেটা ঘটে অস্বিকার করার উপায় নেই। কিভাবে অর্থ পেতে হয় সেবিষয়ে পৃথক লেখা রয়েছে বাংলা-টিউটর সাইটে। সাধারনভাবে বক্তব্য হচ্ছে, অর্থপ্রাপ্তি বিষয়ে সন্দেহ থাকলে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার আগে অর্থ বুঝে নিন। অর্থ না পাওয়ার ঘটনা একবার ঘটলে সেই বিশেষ ক্লায়েন্টের কাজ কখনো করবেন না।
. অল্প অর্থে কাজ করার ভয়
কাজ করে সামান্য অর্থ পাওয়া যাবে এমন ধারনা তৈরী হওয়া অযৌক্তিক না। কাজ পাওয়ার সময় মুল্য কমানোর প্রতিযোগিতা যদি শুরু হয় তখন সেটা ঘটতেই পারে। বাস্তবতা হচ্ছে বেশকিছু কাজ করার পর আপনি সেগুলির উল্লেখ করে তারসাথে মানানসই অর্থ দাবী করতে পারেন।
. দিনরাত কাজ করার ভয়
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দিনরাত কাজ করার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু বিষয়টি আপনার নিজের ওপর। আপনি কতটা কাজ নেবেন, কতটা সময় ব্যয় করবেন সেটা আপনিই ঠিক করে নিতে পারেন।
. নিজের দক্ষতা থেকে সরে যাওয়ার ভয়
আপনি বিশেষ বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন, সেই বিষয়কে আপনি ভালবাসেন। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার তার ক্ষতির কারনে আপনার মনে ভয় থাকতে পারে। বাস্তবে ফ্রিল্যান্সিং দিনদিন এতটাই ব্যাপকতা লাভ করছে যেখানে যে কোন বিষয়েই ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়।
. একাকিত্বের ভয়
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনাকে কাজ করতে হবে একা। বাস্তবে কাজ করার সময় অন্য কারো উপস্থিতি বরং কাজের ক্ষতিই করে। আপনি যদি সংগ পছন্দ করেন তাহলে একে সমস্যা মনে হতে পারে। বরং কাজের সময় ঠিক করে নিন। কখন কাজ করবেন, কখন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবেন ইত্যাদি ঠিক করে সবদিক ঠিক রাখতে পারেন।
. পরিচয় হারানোর ভয়
কাজের জন্য নিজের তথ্য দিতে হয়। এর অপব্যবহারের কারনে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে এবং সেটা ঘটেও। কাউকে কতটুকু জানানো প্রয়োজন হিসেব করে যদি জানান তাহলে এই সমস্যা থেকে দুরে থাকতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং কাজে সমস্যা থাকে এভাবে না ভেবে বরং অনায়াসে ভাবতে পারেন, সব কাজেই সমস্যা থাকে। সমস্যা মোকাবেলা করেই সাফল্য পেতে হয়। যে হারে ফ্রিল্যান্সিং এগিয়ে চলেছে তাতে অনেকেই ধারনা করছেন বর্তমানের অফিস ব্যবস্থা থাকবে না, যে কেউ ঘরে বসেই কর্মী হিসেবে কাজ করবেন।
তাহলে আপনি আগে শুরু করার কৃতিত্ব থেকে দুরে থাকবেন কেন ?
আপনার নিজস্ব মত বা বক্তব্য থাকলে অন্যদের জানাতে পারেন।
0 comments :